সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২২

গল্প: সাইকোপ্যাথ ( পর্ব ৫ )

আরিয়ান অঝোরে অশ্রু ফেলে শুধু গাড়ি চালিয়েই যাচ্ছে। ওর এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না যে নাতাশা আর নেই। আরিয়ানের মনে হচ্ছে নাতাশা চলে যাওয়ার পিছনে একমাত্র দায়ী ও। কারণ তাসনুভাকে এখানে না আনলে এই অ্যাটাক কখনোই হতো না। আর নাতাশারও কিছু হতো না৷ সব দোষ ওর। আরিয়ানের প্রচন্ড খারাপ লাগছে।

নাতাশাকে ও ওর আপন বোনের মতো দেখতো। সবসময় ওকে আগলে রাখতো। নাতাশাকে ওর সেক্রেটারি করাটাও ছিল একটি স্মরণীয় ব্যাপার। নাতাশা অনেক মেধাবী ছাত্রী হওয়ায় আরিয়ানের কোম্পানিতে ওর চাকরি হয়ে যায়। কিন্তু নাতাশা চাকরি হওয়ার পরদিন আরিয়ানের কাছে গিয়ে উপস্থিত হয়৷ তবে সাথে আরেকটি মেয়ে ছিল। নাতাশা আরিয়ানকে অনেক রিকোয়েস্ট করে ওর জবটি ওই মেয়েকে দিয়ে দেয়৷ কারণ মেয়েটির জবটি অনেক প্রয়োজন ছিল। আরিয়ান সেদিনই নাতাশার মহৎ গুণ আর মানবতা দেখে ওকে ওর পার্সোনাল সেক্রেটারি বানিয়ে ফেলে।

সেদিন থেকে আজ পাঁচটি বছর ওরা ভাই বোনের মতো একসাথে কাজ করে এতদূর এসেছিল। কিন্তু আজ সেই সম্পর্কের চিরতরে ইতি হলো। নাতাশা না ফেরার দেশে চলে গেল শুধুমাত্র আরিয়ানের ভালবাসা কিংবা ভালো লাগা তাসনুভাকে বাচাঁতে গিয়ে৷ আজ নাতাশা যদি তাসনুভাকে না বাচাঁতো তাহলে আরিয়ান এবং তাসনুভার পরিবার ভেঙে পড়তো। সেখানে নাতাশার আরিয়ান ছাড়া আর কেউই ছিল না৷ তাই নাতাশা ওর জীবন দিয়ে দুজনকে বাচিঁয়েছে৷ এসব ভেবে আরিয়ানের বুকটা কষ্টে ফেটে যাচ্ছে।

ও কান্নাসিক্ত চোখে তাসনুভার দিকে তাকাতেই আবার একটি ধাক্কা খায়। তাসনুভা চোখ বন্ধ করে আছে। আরিয়ান ভয় পেয়ে যায়। কি হলো তাসনুভার? ও কি আঘাত পেয়েছে? এই পুরো পৃথিবীতে এখন তাসনুভা ছাড়া আরিয়ানের আর কেউ নেই। ও গাড়ি চালাতে চালাতেই অস্থির হয়ে তাসনুভাকে ডাকছে,

- তাসনুভা...তাসনুভা কথা বলো...কি হয়েছে তোমার? প্লিজ কথা বলো।
তাসনুভা কোন কথা বলে না। ও অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে। হঠাৎ করে এত বিভৎস দৃশ্য দেখে তাসনুভা অজ্ঞান হয়ে গিয়েছে। আরিয়ান যেন পাগল হয়ে যাচ্ছে। ও যে এখন কি করবে বুঝতে পারছে না৷ গাড়ি থামালেও সমস্যা। অনেকটা সময় পর একটি দোকানের সামনে আরিয়ান গাড়িটি থামিয়ে খুব সাবধানে এক বোতল পানি কিনে নেয়৷ কারণ ওর পুরো গায়ে রক্ত। পানির বোতলটি নিয়ে রাস্তার ধারে গাড়ি পার্ক করে তাসনুভার চোখে মুখে পানি দেয়৷ দুই তিন বার দেওয়ার পর তাসনুভা আস্তে আস্তে চোখ মেলে তাকায়। আরিয়ান যেন প্রাণ ফিরে পায়। তাসনুভার জ্ঞান আসলে ও আরিয়ানের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে উঠে আর বলতে থাকে,
~ আমাকে মেরে ফেলেন দয়া করে। আমি আর বাঁচতে চাই না৷ আমার জন্য নাতাশা আপু মারা গেল। আমি আর বাঁচতে চাইনা৷ আমাকে প্লিজ মেরে ফেলেন৷
আরিয়ান কি বলে তাসনুভাকে স্বান্ত্বনা দিবে তা ওর জানা নেই। কারণ আরিয়ান নিজে মনে করে এসবের জন্য ও নিজে দায়ী। আরিয়ানও কাঁদতে কাঁদতে তাসনুভাকে নিজের সাথে জড়িয়ে ধরে। দুইজন দুইজনকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কাঁদতে থাকে। ওরা দুজনই নাতাশাকে অনেক ভালবাসে। নাতাশা ছিল এমনই। সবাইকে হাসিখুশি রাখতো। আরিয়ান কান্নাসিক্ত কণ্ঠে বলে,
- শান্ত হও তাসনুভা শান্ত হও। তোমার কিছু হলে আমি আর নিতে পারবো না। আমার পুরো দুনিয়া শূন্য হয়ে যাবে যদি তোমার কিছু হয়৷ আমাদের দুজনকে বাঁচতে হবে৷ যে আমাদের এত বড়ো ক্ষতি করেছে, যে আমার বোন নাতাশাকে মেরে তাকে খুঁজে বের করে নিজ হাতে শাস্তি দিতে হবে৷ তোমাকে ওরা কেন মারতে চেয়েছে আর কেই বা মারতে চেয়েছে তা এখনো জানি না৷ আমি জানি তোমার কোন দোষ নেই। সব দোষ ওদের৷ ওরা আমার বোনকে মেরে ফেলছে। তাসনুভা আমি ওদের কাউকে ছাড়বো না৷ শুধু তুমি আমার পাশে থাকো।
~ আমাকে পাশে রেখে কি হবে? আমার জন্য আপনার বোন শেষ। না জানি আপনারও...
- না তাসনুভা... প্লিজ এসব বলো না৷ আমার কিচ্ছু হবে না৷
~ আমাকে মাফ করে দিন। আপনার কাছে ক্ষমা ছাড়া আমার আর কিছুই চাওয়ার নেই৷ (কাঁদতে কাঁদতে)
- তোমার কোন দোষ নেই। প্লিজ ক্ষমা চেও না৷ আমি ওদের কাউকে ছাড়বো না৷ কাউকে না৷
আরিয়ান তাসনুভাকে ওর সাথে মিশিয়ে আবার গাড়ি চালাতে শুরু করে। ও ঠিক করে সিলেটে ওর আরেকটি বাসা আছে আপাতত সেখানে গিয়ে থাকবে। কারণ ঢাকাতে তাসনুভাকে নিয়ে থাকাটা একদম সেইফ হবে না। এখানে মোড়ে মোড়ে শত্রু। আরিয়ান গাড়িতে তেল নিয়ে রওনা হয় সিলেটের উদ্দেশ্য। সাতটা ঘণ্টার বিশাল বড়ো একটি জার্নি। তাসনুভা আরিয়ানের কাধে ভর দিয়ে ঘুমাচ্ছে। ও মানসিক ভাবে খুব ভেঙে পড়েছে৷ কারণ ওর মনে হচ্ছে, নাতাশা ওর জন্যই চলে গিয়েছে। আরিয়ান অনেক বুঝিয়ে কিছুটা শান্ত করেছে ওকে৷ কিন্তু নিজেকে? ওর চোখ দিয়ে এখনো পানি পড়ছে। তবে এই পানি গুলো এখন প্রতিশোধের আগুনে পরিণত হচ্ছে। আরিয়ান যে কি তা এখনো কেউ বুঝে নায়৷ আরিয়ান শুধু অপেক্ষায় আছে কখন ও সিলেট পৌছাবে। এখন ঘড়িতে দুপুর ২ টা বাজে৷ ওরা চাইলেও গাড়ির বাইরে বের হতে পারছে না। কারণ ওদের জামাকাপড়ে এখনো নাতাশার রক্ত লেগে আছে৷ তাই দুজনই না খেয়ে সাত ঘণ্টা ড্রাইভ করে সিলেট চলে আসে।
এখন প্রায় রাত ৯ টা বাজে৷ আরিয়ান সিলেটে ওর বাংলোতে এসে পৌঁছেছে। এখানেও অনেক বডিগার্ডরা আছে৷ তবে এখন সিকিউরিটি আরো টাইট হয়ে গিয়েছে। আরিয়ান গাড়ি পার্ক করতেই বডিগার্ডদের লিডার টনি এসে দরজা খুলে দেয়। আরিয়ানকে দেখে সালাম দিয়ে বলে,
- স্যার আপনি ঠিক আছেন তো?
- বেঁচে আছি শুধু।
- স্যার ভিতরে চলুন। এখানে আপনার কিচ্ছু হবে না৷
- টনি, আমি শুধু জানতে চাই কে আমাদের উপর হামলা করেছে৷ ওরা আমার কলিজার টুকরা বোনটিকে মেরে ফেলছে আমার সামনে। আমার তাসনুভাকে মারতে এসেছিল ওরা। আমি সব জানতে চাই।
- জি স্যার আমি লোক লাগিয়ে দিয়েছি। শুধু তাই না আপনি জেনে খুশি হবেন, ঢাকার বাড়িটা আবার আমাদের দখলে চলে এসেছে৷
- এত টাকা পয়সা দিয়ে কি হবে, আমি আমার বোন নাতাশাকে বাঁচাতে পারিনি৷ আচ্ছা ওকে দাফন করেছো?
- জি স্যার।
- হুম।
আরিয়ান তাসনুভার কাছে এসে বলে,
- এসো আমার সাথে।
তাসনুভা আরিয়ানের হাত ধরে বাংলোর ভিতর যাচ্ছে। ওর শরীরে একটুও শক্তি নেই। আরিয়ান তাসনুভাকে নিয়ে ওর নিজের রুমে চলে যায়। তাসনুভাকে বসিয়ে আরিয়ান দরজা লাগিয়ে দেয়। আরিয়ান তাসনুভাকে একগ্লাস পানি এগিয়ে দেয়। ও দ্রুত সেটি খেয়ে নেয়৷ এরপর আরিয়ানও পানি খেয়ে নেয়৷ ও আলমারি থেকে তাসনুভার জন্য একটি ড্রেস এনে তাসনুভার হাতে দিয়ে বলে,
- যাও ফ্রেশ হয়ে আসো ভালো লাগবে৷
~ আমার গায়ে একদমই শক্তি পাচ্ছি না। খুব খারাপ লাগছে।
- আচ্ছা তুমি বসো তাহলে আমি একটু আসছি।
আরিয়ান রুমের বাইরে যেতে নিলে তাসনুভা ওর হাত ধরে। আরিয়ান ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলে,
- দুই মিনিট লাগবে৷
~ আচ্ছা।
আরিয়ান দ্রুত গিয়ে ট্রেতে করে অনেক খাবার নিয়ে আসে। তাসনুভার খুব ক্ষুধা লেগেছি। আরিয়ান সেটি বুঝেছে৷ ও খাবার এনে সবার আগে তোয়ালে ভিজিয়ে তাসনুভার মুখ এবং হাত মুছে দেয়৷ তাসনুভা মলিন মুখখানা নিয়ে অশ্রুসিক্ত নয়নে আরিয়ানকে দেখছে৷ আরিয়ান অনেক সুন্দর করে ওর কেয়ার করছে। আরিয়ান দ্রুত ওর জামা কাপড়টি পালটে একটি ট্রাউজার আর টিশার্ট পরে আসে৷ কারণ এভাবে তাসনুভাকে খাওয়ানো যাবে না৷ জামা কাপড় পালটে এসে তাসনুভার সামনে খাবার বেড়ে হাতে খাবার নিয়ে বলে,
- হা করো।
তাসনুভার চোখ জ্বলজ্বল করছে। আরিয়ান মাথা নাড়িয়ে না করে বলে,
- আর কেঁদো না অসুস্থ হয়ে যাবে৷ তখন আমার কষ্ট আরো বেশি হবে৷ এখন খাবারটুকু খেয়ে নেও। নাহলে আরো দুর্বল হয়ে যাবে৷
~ আচ্ছা দিন৷ আর আপনি খান আমার সাথে। আমার চেয়ে আপনার কষ্ট হচ্ছে বেশি আমি জানি।
- তুমি খেলেই আমার হবে৷ তারপরও যখন বলেছো খাবো।
এরপর আরিয়ান তাসনুভাকে খাইয়ে দেয়। ওরা দুজন পেট ভরে খায়৷ দুজনের চোখে মুখে ভীষণ কষ্ট। তাসনুভা তো আরিয়ানের দিকে তাকাতেই পারছে না। খাওয়া দাওয়া শেষ হলে আরিয়ান তাসনুভাকে শুইয়ে দেয়। ও খুব ক্লান্ত থাকায় ঘুমিয়ে পড়ে। আরিয়ান নতুন ফোনে নতুন সিম লাগিয়ে তাসনুভার বাবার নাম্বার নিয়ে ফোন দেয়,
- হ্যালো আঙ্কেল...
ওপাশে অনেক কান্নার শব্দ। তাসনুভার বাবা কাঁদতে কাঁদতে অস্থির হয়ে বলেন,
- বাবা তোমরা ঠিক আছো? আমার মেয়েটি বেঁচে আছে তো?
- জি আঙ্কেল তাসনুভা ভালো আছি। শুধু..
- শুধু কি বাবা? আর তোমার কণ্ঠ এমন লাগছে কেন?
- আঙ্কেল আমার বোন, আমার সেক্রেটারি নাতাশাকে ওরা মেরে ফেলছে। তাসনুভাকে উদ্দেশ্য করে গুলি করেছিল আমার বোনটি ওর ভাবীকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবনটি দিয়ে দিয়েছে। ওর জন্য দোয়া করবেন। (আরিয়ান কেঁদে দেয়)
তাসনুভার বাবাও কান্না করছে৷ তিনি বলেন,
- কিছুই বুঝতে পারছি না কি থেকে কি হলো।
- আঙ্কেল ওরা তাসনুভাকে মারতে এসেছিল।
- কিহ! কিন্তু কেন? আর কেই বা আমার মেয়েকে মারতে চায়?
- আপনার কি কোন বড়ো শত্রু আছে?
- না বাবা একজনও নেই। আমি সৎ এবং হালাল ভাবে ব্যবসা করে এত দূর এসেছি।
- তাহলে কেন ওরা শুধু তাসনুভাকেই মারতে আসলো?
- বাবা তুমি আমার মেয়েটিকে বাচাও। তোমরা এখন কোথায়?
- আমরা এখন সিলেটে আমার বাংলোতে আছি। এখানে সিকিউরিটি অনেক হাই। চিন্তা করবেন না৷ তাসনুভা সেইফ আছে৷
- অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ বাবা৷ আমার মেয়েটিকে দেখে রেখো।
~ বাবা আরিয়ান আমার মেয়েটির দায়িত্ব তোমার হাতে তুলে দিলাম। ওর খেয়াল রেখো। আমাদের একমাত্র সম্বল ও৷
- আন্টি চিন্তা করবেন না৷ এর শেষ খুব তাড়াতাড়ি হবে৷ আপনারা দোয়া করবেন।
- অবশ্যই বাবা৷
আরিয়ান তাসনুভার বাবা-মার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ফোন কেটে দেয়৷ ওর শরীরটি ভেঙে যাচ্ছে। পায়ে আর কোন জোর পাচ্ছে না৷ তাই টনিকে জানিয়ে রুমের দরজা জানালা ভালো করে দিয়ে আরিয়ান সোফাতে শুয়ে পড়ে। ও যেন অজ্ঞান হয়ে যায়৷
অন্যদিকে,
- স্যার আরিয়ান আর তাসনুভা পালিয়েছে।
- কিহ! একটি কাজ ওরা করতে পারলো না! এতগুলো টাকা দিলাম একটি মেয়েরে খুন করতে তাও ওরা পারলো না?
- স্যার তাসনুভাকে মারতে না পারলেও আরিয়ানের সেক্রেটারিকে মেরে ফেলছে।
- কি! হাহা সাব্বাশ সাব্বাশ৷ যাহ! খেলা তাহলে শুরু। হাহা৷ তা ওরা এখন কই আছে?
- যতটা জানতে পেরেছি ওরা এখন সিলেটে।
- বাহ! গুড জব৷ তাহলে নেক্সট অ্যাটাকের প্ল্যান রেডি করো। এবার কিন্তু আর ছাড়লে হবে না। হাহা।
- জি স্যার এবার শার্প শুটারদের আনছি। এবার আর তাসনুভা বাঁচবে না৷
- হাহা। ওর লাশের একটি ছবি তুলে আমাকে পাঠিও। পরে কাজে দিবে৷
- ওকে স্যার।
- আরিয়ান তোর তাসনুভাকে এবার আর কেউ বাঁচাতে পারবে না৷ হাহা৷
রাত ২/৩ টা বাজে৷ হঠাৎ আরিয়ানের ঘুম ভাঙে। কেন যেন কাঁদছে। আরিয়ান জানে এই কান্না কার। ও মাথা তুলে তাকিয়ে দেখে তাসনুভা কাদছে৷ আরিয়ান আস্তে আস্তে উঠে তাসনুভার কাছে যায়৷ গিয়ে দেখে ও ড্রেস পরিবর্তন করে শুয়ে শুয়ে কাদছে৷ আরিয়ান যে ওর পিছনে দাড়াবো তাসনুভা হয়তো অনুভব করে নি৷ আরিয়ান দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবছে কি করবে৷ তাসনুভা একা একা কাচুমাচু দিয়ে খুনখুন করে কাদছে৷ আরিয়ানের খুব কষ্ট হচ্ছে৷ তাই ও আর না পেরে বেডের অন্য পাশে গিয়ে বেডের উপর উঠে শুয়ে পড়ে৷ তাসনুভা আরিয়ানকে দেখে অবাক হয়। আরিয়ান ওর দিকে তাকিয়ে আছে, সাথে তাসনুভাও৷ আরিয়ান ওর চোখ মুছে দিয়ে ওকে ধরে...

লিখেছেন: আবির

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন