রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

দেবরের সাথে শিলার পরকিয়া ও কিছু উপদেশ

শিলা নিজের দেবরের সাথে পরকিয়া করতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পরে বেশ কয়েকবার। তার স্বামী নাসিম বাচ্চা দুইটার মুখের দিকে চেয়ে বারবার শিলাকে ক্ষমা করে দেয়।

নিজের ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক নেই বললেই চলে।

যতোবারই শিলাকে নাসিম ক্ষমা করেছে ততোবারই নতুন করে সব ভুলে সংসার জীবন শুরু করে।

কিন্তু কিছু কিছু মানুষ আছে যারা কোনোদিনই শুধরায় না।

তাদেরকে ক্ষমা করেছেন তো তারা তার সুযোগ নেবেই। শুনতে খারাপ শোনা গেলেও তাদের চরিত্র অনেকটা কুকুরের লেজের মতো যা কখনোই সোজা হবে না।

শিলা ও সেম।

নাসিম বরাবরই তাকে নিয়ে সংসার করার জন্য সব কিছু ক্ষমা করে নিজের ভাইকে ত্যাগ করেও শিলা কে শুধরাতে পারে নি।

দেবরকে বাড়ি থেকে বের করে দিলে শিলা প্রেম করা শুরু করে অনলাইনে অচেনা ছেলেদের সাথে।

নাসিম সারাদিন ব্যস্ত থাকে অফিসে ব্যবসা নিয়ে আর শিলা তার লীলা নিয়ে।

কখনো ছেলের প্রাইভেট টিউটরের সাথে আবার কখনো ফোনে এভাবেই শিলার সময় কাটে।

আর নাসিমের মতো মানুষেরা তাদের সরলতার জন্যই বার বার ঠকে যায় আজীবন।

নারী হোক বা পুরুষ যার চরিত্রের ঠিক নেই তার কিছুই ঠিক নেই।

একজন মানুষের চরিত্রই হচ্ছে তার আসল সম্পদ।

এই ছোট্ট জীবনে কিছু চাক্ষুস অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরেছি।

স্কুলে পরাকালীন সময়ে এক বড় প্রতিবেশি আপুকে দেখতাম স্কুলের একজন স্যারের পিছনে ঘুরতে।

শুধু যে ঘুরতো তা কিন্তু নয় স্যার বিবাহিত জানা সত্বেও সেই আপু শুধুমাত্র ভালো রেজাল্টের আশায় ঐ স্যারের সাথে যেকোনো ধরনের সমঝোতা করতেও প্রস্তুত ছিলো।

তখন ঐটুকু বয়সে সমঝোতা না বুঝলেও এখন বুঝার বাকী নাই।

স্যার সমঝোতা করেছিলেন কিনা আমার জানা নাই তবে একটি যুবতী মেয়ে হয়ে যদি এক বাচ্চার বাবার পিছনে ঘুরেন তাহলে সেই বাচ্চার বাপ সাড়া দিলে লোকটারই দোষ কারন লোকটা লুইচ্চা, চরিত্রে সমস্যা।

আর মেয়ের দোষ নাই কারন মেয়ের বয়স কম বুঝতে পারেনি।

এটাই সমাজের রীতি হয়ে দাড়িয়েছে!

এক পরিচিত বড় ভাইকে দেখতাম একই সাথে ৪/৫ টি প্রেম করতো। তার ভাষ্যমতে তাদের সবাইকেই সে ভালোবাসে!

এটা কেমন ভালোবাসা আমার আজও বোধগম্য নয়।

প্রায়ই শুনতাম বাড়ির কাজের মেয়ের সাথে পরকিয়া বা প্রতিবেশি ভাবীর সাথে পরকিয়া।

দোষটা কার? 

একতরফা ভাবে পরকিয়া করা কি আদো সম্ভব!

নারী কিংবা পুরুষ কেউই কিন্তু এদিক দিয়ে পিছিয়ে নেই।

দিন শেষে ঠকে সরল মানুষেরা।

একটি কথা মনে রাখবেন,

যতটুকু করবেন আপনিও ঠিক ততোটুকুই ফেরত ও পাবেন।

ভালো হোক বা খারাপ প্রত্যেক কাজেরই কৈফিয়ত আল্লাহর কাছে দিতে হবে।

আমরা তখনকার জন্য প্রস্তুত তো??

আল্লাহ আমাদের সকলকে হেদায়াত দান করুন। আমিন।

রাইটার: সিনথিয়া অরয়া

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন