স্বাগতম সকল kazisilo রিডারদের। আমরা কম বেশি সবাই সোনা ক্রয় করে থাকি। কিন্তু অনেকেই জানিনা স্বর্ণ বা সোনা কিভাবে পরিমাপ করে এবং এটি কত টাকা দাম হয়েছে। স্বর্ণকার আমাদের যত টাকা বলে আমরা তত টাকা তাকে দিয়ে দেই বা সামান্য কিছু কম দিয়ে ভাবতে থাকি অনেক কম দামে স্বর্ণটা কিনে নিয়েছি। আসলে আপনি কম দামে স্বর্ণ কিনতে পারেন নি। কারণ সোনার দাম যত হয়েছে স্বর্ণকার আপনাকে তার চাইতেও বেশি দাম বলেছে, যাতে আপনি টাকা কম দিলেও যেন তার লাভের পরিমানটা ঠিক থাকে। যদি আপনি স্বর্ণের পরিমাপ করা বুঝতেন তাহলে আপনাকে স্বর্ণকার কিছুতেই বোকা বানাতে পারত না এবং আপনার থেকে বেশি টাকা নিতে পারতো না। তো চলুন জেনে নিন স্বর্ণের বা সোনার পরিমাপ ও বিশুদ্ধতা।
সবার আগে আপনাকে জানতে হবে ক্যারেটের হিসাব অর্থাৎ আপনি কত ক্যারেটের সোনা কিনবেন এবং কত ক্যারেট সোনাতে ঠিক কতটুকু খাদ রয়েছে তার হিসাব এবং কতটুকু পিউর সোনা থাকে। মনে রাখতে হবে যে অলংকার বানাতে সোনার মধ্যে আবশ্যই খাদ মেশানো থাকতে হবে। না হলে অলংকার ভেঙ্গে যাবে। ১০০% পিউর স্বর্ণ দিয়ে কখনো অলংকার তৈরি করা যায় না। চলুন তাহলে এবার আমরা জেনে নেই কত ক্যারেটে কতটুকু সোনা থাকে।
- ২৪ ক্যারেট = ৯৯.৯৯% সোনা আছে এবং বাকি অংশ খাদ।
- ২২ ক্যারেট = ৯১.৬০% সোনা আছে এবং বাকি অংশ খাদ।
- ২১ ক্যারেট = ৮৭.৫০% সোনা আছে এবং বাকি অংশ খাদ।
- ১৮ ক্যারেট = ৭৫.০০% সোনা আছে এবং বাকি অংশ খাদ।
- ১৪ ক্যারেট = ৫৮.৫% সোনা আছে এবং বাকি অংশ খাদ।
- ১০ ক্যারেট = ৪১.৭% সোনা আছে এবং বাকি অংশ খাদ।
এটা হচ্ছে আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স্বর্ণের পরিমাপ। সোনার অলংকার কেনার আগে অলংকারটির গায়ে খোদায় করা লেখাটি দেখে নিশ্চিত হয়ে নিবেন এটি আসলেই কত ক্যারেটের। যদি সেখানে লেখা থাকে ৯৯৯৯ তাহলে এটা হবে ২৪ ক্যারেট, আর যদি ৯১৬ লেখা থাকলে ২২ ক্যারেট, আবার যদি ৮৭৫ লেখা থাকে তাহলে বুঝবেন এটি ২১ ক্যারেট। আর এই লেখাটি খোদায় করে স্বর্ণের চেনের হুকে বা অলংকারের পেছনে লেখা থাকবে।
এবার সোনার হিসাব কত ভরি কত রতি এসব কিছু বুঝতে ভিডিওটি দেখে নিন আর একটি খাতায় নোট করতে পারেন।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে স্বর্ণের পরিমাপ করতে হয়। আর যদি বুঝতে কোন সমস্যা হয় তাহলে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করতে পারেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন