বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২

জনি ভাইয়া এবং নাদিয়া আলীর ব্রেকআপের গল্প

আজ ২৫টা দিন হলো জনি ভাইয়া আর নাদিয়া আলীর ব্রেকআপ হইছে। যদিও তারা দুজন ব্রেকআপ করছে কিন্তু কেউ কারো সাথে যোগাযোগ বন্ধ রাখে নাই। তারা তখন তুমি করে বলতো এখন আপনি করে কথা বলে। জনি ভাইয়া আর নাদিয়া আলী দুজন দুইজনকে এতই ভালবাসে যে ব্রেকআপ করার পর দেখা করবে কথা বলবে খোঁজ খবর নিবে কিন্তু আপনি করেই বলবে।

রাত ১১ টা নাদিয়া জনির মোবাইলে কল দিলো। ৭ বার দিলো, না জনি কল ধরছে না এভাবে নাদিয়া ১৫ বার এর মতো কল দিলো তাও কল তুলছে না। নাদিয়া কিছুটা ঘাবড়ে গেলো জনির কিছু হলো না তো সে তো এমন করে না। 


জনি ভাইয়া এবং নাদিয়া আলীর ব্রেকআপের গল্প


নাদিয়া দেরি না করে দ্রুত জনির বাসায় চলে গেলো। নাদিয়া জানে জনির কিছু হলে সে বাঁচবে না। নাদিয়া তাড়াতাড়ি তার বাসায় গেলো গিয়ে দেখলো দরজা খোলাই আছে, রুমের ভেতরে গিয়ে রুমি যা দেখল।

: আরে আরে আপনি কল ধরেন না কেনো। আর আমি ভাবছি আপনার কি না কি হইছে, আমাকে কি আপনি শান্তিতে থাকতে দিবেন না (নাদিয়া আলী)

: কল ধরলাম না কারন আসলে আমার আপনাকে সমানে থেকে দেখতে খুব ইচ্ছা করছিল (জনি)

: তো এত রান্না কি জন্য কে আসবে (নাদিয়া আলী)

: আসবে না এসে গেছে।

: কে?

: আপনি। আমি জানি কল না ধরার পর আপনি চলে আসবেন বাড়িতে থাকতে পারবেন না।

: যদি না আসতাম!

:ভুল মানুষকে ভালবাসি নাই। আপনি টেবিলে বসেন আমি খাবার গুলো নিয়ে আসছি।

নাদিয়া কান্না করছে, কিন্তু এটা সুখের কান্না।

: কান্না থামান। এই যে আপনার প্রিয় সব ধরনের খাবার ই আছে শুরু করেন তো।(জনি)

নাদিয়া কিছু না বলে খাওয়া শুরু করলো।

টেবিলের দু পাশে দুজন বসে আছে তবুও তাদের থেকে আপন কেউ নেই।

খাওয়া শেষে জনি বললো চলেন বাসায় দিয়ে আসি..

: না যাবো না

: কেনো??

: এমনি যাবো না।

: যদি খারাপ কিছু হয়ে যায়।

: হবে না

: কিভাবে বুঝলেন??

: আমি কি ওইরকরম কাউকে ভালবাসছি নাকি হ্যা (কান্না করে দিল)

আর কতক্ষন আপনি করে বলবে?? (নাদিয়া আলী)

: যতক্ষন না আপনি আমার বুকে এসে একটু কান্না করবেন।

নাদিয়া আলী দৌরে গিয়ে জনিকে জড়িয়ে ধরে বলল ব্রেকআপ। ওই দিন রাতে আর নাদিয়া বাড়ি যায় নি। জনি ভাই তাকে যেতেই দেয় নি। ওই দিনের পর থেকে তারা আর আলাদা হয় নি। এক সাথে সুখে বাস করতে থাকল।

এই ছিলো ভাইয়া আর নাদিয়া আলীর ব্রেক আপের গল্প

আমরা অনেকেই অকারনে প্রিয়জনের সাথে ব্রেকআপ করি। হয়তো বা দুজনের জেদের বসেই। অথচ নিরবে কিন্তু দুজনেই কান্না করে যাই। তাই আপনাকে বলব আর দেরি নয় অনেক কান্না হইছে দৌরে যান আপনার প্রিয় মানুষটির কাছে। হয়তো সে আপনার অপেক্ষায় বসে আছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন